বাংলাদেশ

রূপপুর প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ববি হাজ্জাজ আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ মঙ্গলবার রিটটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

রিটে এই অভিযোগসংক্রান্ত দেশি–বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১৭ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রিটে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পাঁচ বিবাদীর বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।  রিটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী সাহেদুল আজম প্রথম আলোকে বলেন, ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত মাসে দুদকে আবেদন করা হয়। তবে এতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিটটি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর (৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত) রিটটি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গত মাসে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে গত ২৫ আগস্ট মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটি গুজব ও মিথ্যা। এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি রোসাটম (রূপপুর প্রকল্পে কাজ করছে) ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।’