বাণিজ্য

মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দায় ৫-৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: গভর্নর

আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি আমদানি দায় পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভা শেষে এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ও সরকারি ব্যাংকের কাছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর যে পাওনা রয়েছে, তা কীভাবে শোধ করা হবে বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকগুলো গভর্নরের কাছে জানতে চায়। তখন গভর্নর বলেন, ইতিমধ্যে ৮০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তব্যাংক বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করছে। সেই ডলার সরকারি ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি ব্যাংক এসব ডলারের মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধ করছে। আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সব মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দায় পরিশোধ হয়ে যাবে।

এ সময় গভর্নর বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে গ্রাহকের যে সম্পর্ক তা গভীর। এটা এক বা দুই মাসের সম্পর্ক নয়। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু অতীতেও দেশের খেলাপি হওয়ার রেকর্ড নেই। বর্তমানেও আমরা মনে করছি যে মেয়াদোত্তীর্ণ দায় রয়েছে, তা পরিশোধ করতে পারব।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, পুরোনো এসব দায় পরিশোধে দফায় দফায় সময় বাড়ায় বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তখন রিজার্ভ থেকে ডলার দিয়ে কিছু দায় পরিশোধ করা হতো। তবে নতুন গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুর যোগ দেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। এক ব্যাংক থেকে ডলার অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রির মাধ্যমে এসব বিদেশি দায় সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে এরপরও ভালো পরিমাণ দায় বকেয়া রয়ে গেছে। বিদেশি ঋণ আসলে ও প্রবাসী আয়ের গতি বাড়লে দায় দ্রুত শোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।