মতামত

এখন বিএনপির মূল কাজ জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে আধুনিক বাংলাদেশে রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এখন বিএনপির মূল কাজ জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে আদর্শকে বাস্তবায়ন করা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন, তা প্রতিষ্ঠা করা।

আজ রোববার সকালে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতা-কর্মীরা। সেখানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। অনেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল করছিলেন চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশে বেগম রোকেয়া সরণিতে। এতে বিজয় সরণি মোড় থেকে আশপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য তিনি যে কাজ করছেন, সে বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন।

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বের করে নিয়ে এসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা করেন—এ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। জাতির সামনে নতুন স্বপ্ন তুলে ধরেছিলেন। জিয়াউর রহমানের দূরদৃষ্টি বাংলাদেশকে আজকের বাংলাদেশে পরিণত করেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্তবাজার অর্থনীতি—এসবের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে আধুনিক বাংলাদেশে রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের একেবারে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান বিএনপি সৃষ্টি করেছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯০ সালে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের নতুন পথের সূচনা করেছিলেন। ২০২৪ সালে যে ‘স্বাধীনতা’, তার জন্য বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছে। বিএনপির সাত শতাধিক নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন। দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৬০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।